শুরু হয়ে গেল নারী সাফ ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। আজ নেপালের কাঠমান্ডুতে ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই দিয়ে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের লড়াই শুরু হবে। বিকাল সাড়ে ৫টায় দশরথ স্টেডিয়ামে দুই দেশ মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ ২০ অক্টোবর। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এখন নেপালে। গতকাল অনুশীলনও করেছে। ঢাকা ছাড়ার আগে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলে গেছেন মিশনটা হবে কঠিন। এ কথা বলার পেছনে বড় কারণ হচ্ছে প্রস্তুতিটা জোরালো হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলার আক্ষেপ নিয়ে উড়ে গেছেন তাঁরা।
গ্রুপে পাকিস্তান থাকায় অনেকের ধারণা ছিল সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের সমস্যা হবে না। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না রানার্সআপ হবে, সেটাই প্রশ্ন। তবে প্রথম ম্যাচেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। নারী ফুটবলে পাকিস্তানের অবস্থান কখনো শক্ত ছিল না। এবার তারা ভিন্ন চেহারা নিয়ে মাঠে নামবে। পাকিস্তান নারী দল যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। যাচাইবাছাই করে ১০ জন প্রবাসী ফুটবলারকে মূল দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কারও কারও আবার ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাকিস্তান নিয়ে ভাবতেই হবে সাবিনাদের।
পাকিস্তানকে হারাতে হলে সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। গ্রুপে দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই মানে এক ম্যাচ হারলেই বিপদ। তাই অনেক হিসাবনিকাশ করে মাঠে নামতে হবে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে শুরুতে জয় খুবই জরুরি। নারী ফুটবলাররা তো বছরে প্রায় ৩৬৫ দিনই অনুশীলন করেন। কিন্তু টুর্নামেন্টে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাটা ছিল খুবই জরুরি। বাফুফে তা গুরুত্বই দেয়নি। অধিনায়ক সাবিনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল শিরোপা ধরে রাখা সম্ভব কি না? সাবিনা কিন্তু দৃঢ়কণ্ঠে কিছুই বলেননি। শুধু বলেছেন, ‘দেখি না চেষ্টা করে।’