শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাজীপুরে ব্যতিক্রম আলোক প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় গাজীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বসুন্ধরা শুভসংঘ গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মুসাফির ইমরানের সভাপতিত্বে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শুভসংঘের সদস্যরা। এসময় ১মিনিট নিরবতা পালন করে সংগঠনটি।
আলোক প্রজ্জ্বলন দেখতে বিপুল মানুষের সমাগম হয়। ব্যতিক্রম এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে ব্যস্ত ছিলেন আগতরা।
জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিনহা আক্তার সুমাইয়া বলেন, 'শহীদদের জীবনের বিনিময়ে আজকের বাংলাদেশ। আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের দেশে বসবাস করতে পারছি। শহীদরা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন তারা মরেও জীবিত। এমনই আলোকিত হয়ে থাক শহীদদের জীবন।'
সংগঠনের সভাপতি মুসাফির ইমরান বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে আজকের এ দিনের (বুদ্ধিজীবী) বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে। সে সময় স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের জন্য আত্মোৎসর্গ করে শাহাদাত বরণ করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। তাদের চেতনা বুকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে জাগ্রত করতে আলোক প্রজ্জ্বলন করা হয়।
তানজিনা জেরিন আক্তার বলেন, ১৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তানভীর আহমেদ বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন- হারিন হোসেন, মোকছেদুল হক, শ্যামল, ঝর্না, জয়, আমিনুল ইসলাম, প্রত্যয়, নিপা, বনলতা, সুইটি, রোকসানা, সুমাইয়া ইসলাম, লিমা, তাসলিমা, মরিয়ম, জান্নাতুন, আহাদ, মাহমুদা, ফাহিম, আলমগীর, রিপন সহ অন্যান্য সদস্যগণ।
বিডি প্রতিদিন/এমএস