খুলনা নগরীর বিভিন্ন সড়ক এখন ময়লার ভাগাড়। বর্র্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সিটি করপোরেশন ৩৯৩ কোটি টাকা ব্যয় করলেও সুফল মেলেনি। নগরীর ১৫৯টি স্থানে সড়কের ওপর দিনের অনেক সময় ধরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে। ময়লা ও পচা গন্ধে সড়কের পাশ দিয়ে নাক চেপে হাঁটতে হয়। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে এমন ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে থাকা এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) থেকে এস্কেভেটরের মাধ্যমে ময়লা তোলা হয় ট্রাকে। এরপর খোলা ট্রাকে করে নেওয়া হয় রাজবন্ধ ডাম্পিং পয়েন্টে। কখনো ময়লা বোঝাই পলিথিন, নোংরা পানি সড়কে ছিটকে পড়ে। দুর্গন্ধে পথচারী, রিকশাভ্যানের যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েন।
প্রতিটি ওয়ার্ডে ময়লা ব্যবস্থাপনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বিভিন্ন সংস্থা বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে সড়কে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। শেখপাড়া কেডিএ এভিনিউ, ময়লাপোতার বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ কোয়ার্টারের পাশে, গোয়ালখালীী, মুজগুন্নি সড়কে নির্বাচন অফিসের পাশে, নিরালা, শান্তিধাম মোড়, পিটিআই মোড়, খুমেক হাসপাতালের পাশে, কদমতলাসহ বিভিন্ন সড়কে খোলা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে আবর্জনা। কয়েকটি স্থানে ময়লা ফেলার কারণে পচা পানি জমে খানাখন্দ তৈরি হচ্ছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন-এর জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কুদরত-ই খুদা বলেন, নগরবাসী চায় ক্লিন ও গ্রিন সিটি। তাদের প্রত্যাশা সিটি করপোরেশন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ জানান, প্রকল্পের বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে এসটিএস-এর জন্য জমি কেনা হয়েছে। কিন্তু নানান কারণে সেখানে ডাম্পিং পয়েন্ট করা যাচ্ছে না। কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, যেসব পয়েন্টে বেশি ময়লা ফেলা হয়, সেখান থেকে দিনে তিনবার ময়লা অপসারণ করা হয়। অপসারণের পরও দেখা যায়, অনেকে ময়লা ফেলেছেন। তখন সেই ময়লা অপসারণ করতে সময় লাগে।