ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাাহ মুসলিম (এসএম) হলে মারধরের শিকারে হয়ে অপরাধীদের বিচারের দাবিতে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ হামলার শিকার বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার এক আবাসিক শিক্ষার্থীর পক্ষে অভিযোগপত্র জমা দিতে গিয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে অবরুদ্ধ হন নুরুল হক নুর। এ সময় তার সাথে ছিলেন শাসসুননাহার হলের ভিপি শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, ডাকসুতে স্বতন্ত্র জোটের পরাজিত ভিপি প্রার্থী অরণী সেমন্তি খান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন ও ফারুক হাসানসহ কোটা আন্দোলন ও বামসংগঠনগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু অভিযোগপত্র জমা দিতে গিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়েন তারা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, হল সংসদের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা নুরসহ অন্যান্যদের মারধর করেছেন। পরে হল প্রাধ্যক্ষ্যের কার্যালয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর হল প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারের নিরাপত্তায় বের হতে গেলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর ডিম, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে হলের আবাসিক ফরিদ হাসানকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ ওঠে। হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ফরিদ নিজ সংগঠনের মনোনয়ন না পেয়ে হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। মূলত ছাত্রলীগের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ার জের ধরেই তার ওপর ছাত্রলীগের একাংশ হামলা চালায়।
বিডি-প্রতিদিন/০২ এপ্রিল, ২০১৯/মাহবুব