বাংলাদেশ ও জাপান প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে।
বুধবার টোকিওতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামাত উল্লাহ ভূঁইয়ার সঙ্গে জাপানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী ওয়াতানাবে ইয়োইচির বৈঠকে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়।
বৈঠকে ড. ভূঁইয়া জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দক্ষতা উন্নয়ন ও বিদেশে কর্মসংস্থানে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য।
তিনি অভিবাসন শাসনব্যবস্থায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কার—যেমন আইনি আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের বিষয় তুলে ধরে বলেন, এসব উদ্যোগ অভিবাসন খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
সিনিয়র সচিব জানান, জাপানে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ শ্রমিকের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ইতোমধ্যে দু’টি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) এবং ২০০টিরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাপান সেল গঠন করেছে এবং জাপানি কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় জাপানি ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করছে।
ড. ভূঁইয়া জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশে স্পেসিফায়েড স্কিলড ওয়ার্কার (এসএসডব্লিউ) কর্মসূচির আওতায় পাঁচটি ক্ষেত্রে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তিনি খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, খাদ্য পরিবেশন ও বনজ শিল্পসহ আরও কিছু খাত যুক্ত করার আহ্বান জানান।
উপমন্ত্রী ওয়াতানাবে এ প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং জানান, ঢাকায় জাপান দূতাবাস ইতোমধ্যে এসব নতুন খাত যুক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
ড. ভূঁইয়া উপমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান, যাতে দক্ষতা উন্নয়ন ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়।
পরে তিনি আইএম জাপান কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কানামরি হিতোশির সঙ্গে বৈঠক করেন।
হিতোশি জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশি টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ও এসএসডব্লিউ কর্মীর সংখ্যা অন্তত ৩০০-তে উন্নীত করা হবে।
এর আগে, ৪ নভেম্বর ড. ভূঁইয়া টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী কর্মী প্রেরণকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জাপানে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ শক্তিশালী করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত