অর্থ সংকটে জর্জরিত ক্লাবগুলো। নতুন ফুটবল মৌসুম মাঠে গড়ালেও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে খুবই সামান্য। দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রায় প্রতিটি ক্লাবের একই অবস্থা। এবার খেলোয়াড়রা যে টাকা পাচ্ছেন তা সামান্য বলা যায়। অন্যান্য সময় ইচ্ছামতো অর্থ দাবি করলেও তা এবার হয়নি। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতে খেলোয়াড়রা তা মেনেও নিয়েছেন। পারিশ্রমিক কম হলেও তাতে সমস্যা মিটছে না। এখন পর্যন্ত যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা খুবই কম। ফুটবল মাঠে গড়ানোর পর তা ধীরে ধীরে পরিশোধ করা হবে এমন প্রতিশ্রুতিই নাকি ক্লাবগুলো থেকে দেওয়া হয়েছে। দুই দলের চ্যালেঞ্জ কাপ শেষ হয়েছে। পেশাদার ফুটবল লিগে প্রতিটি ক্লাবই দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। ফেডারেশন কাপও মাঠে গড়িয়েছে।
নতুন মৌসুমে মাঠে নামার আগে বিভিন্ন ক্লাব থেকে ফুটবলাররা যে পারিশ্রমিক পেয়েছেন তা খুবই সামান্য। আবার কিছু ক্লাব নাকি তা হাজারের মধ্যে কাজ সেরেছে। এমনিতেই পারিশ্রমিকের পরিমাণ কম। তারপর আবার এ সামান্য টাকা দিতে দিচ্ছি দেব বলে সময় পাড় করে দেয় তাতে তো খেলোয়াড়রা দুশ্চিন্তায় থাকবেন তা স্বাভাবিক। বসুন্ধরা কিংস এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ ও জাতীয় দলের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ম্যাচের জন্য ২০ অক্টোবরের পর লিগের খেলা হয়নি। ২৪ নভেম্বর ফের বাংলাদেশ ফুটবল লিগ মাঠে গড়াবে। খেলা বন্ধ থাকুক, কিন্তু পারিশ্রমিকের জন্য নিজ নিজ ক্লাব কর্মকর্তাদের তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন খেলোয়াড়রা। স্থানীয় কিংবা বিদেশিরা বকেয়া পেয়ে চাপমুক্ত থাকতে চাচ্ছেন।
তাগাদ দেওয়ার পরও কি লাভ হচ্ছে? ধীরে ধীরে অর্থ পকেটে তুলতে সমস্যা হচ্ছে কি? জানা গেছে, কিছু ক্লাব টাকা দিচ্ছে আর কিছু ঝুলিয়ে রাখছে। যারা দিচ্ছে তাও আবার নাকি সন্তোষজনক নয়। ঐতিহ্যবাহী এক ক্লাবের কর্মকর্তা জানালেন, ‘কী করব চারিদিকে শুধু নেই আর নেই। যারা ডোনেশন দিতেন তারা বলেন ব্যবসায় বন্ধ টাকা পাব কোথায়। তবুও বসে নেই আমরা। যে নিয়মে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তা মেনেই দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ বিদেশি ফুটবলাররা ঠিকমতো অর্থ না পাওয়ায় এখনই নাকি না খেলার হুমকি দিতে শুরু করেছেন। ক্লাবগুলোর বড় চিন্তা তাদের ঘিরেই। বিদেশিদের পারিশ্রমিক বাকি রাখলে ফিফার কাছে নালিশ করে। তখন যা পেতেন না, তার চেয়ে বেশি টাকা দিতে হয় তাদের। তা না হলে নিষিদ্ধের শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি ক্লাব গভীর অর্থ সংকটে বন্দি। এবার আবার টুর্নামেন্টের সংখ্যা বেড়েছে। কত আর দিচ্ছি দেব বলা যায়।