খুব কম খেলাতেই বিশ্বসেরাদের সারিতে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। অল্প যে কয়েকটি খেলা রয়েছে, তার মধ্যে আর্চারি অন্যতম। রোমান সানা আর্চারির বিশ্বকাপে রৌপ্য পদক জয় করেছেন। দেশকে উপহার দিয়েছেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ব্রোঞ্জ পদক। সোনার পদক জয় করেছেন এশিয়া কাপ এবং এসএ গেমসে। রোমান সানার পথ ধরে ইতি, দিয়ারাও বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন। আরও একটি আর্চারির লড়াই বাংলাদেশের সামনে। আর্চারি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ৮ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। তৃতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৭ ও ২০২১ সালে এশিয়ান আর্চারির সেরা এ আসর আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ রিকার্ভ দলগত পুরুষ ও নারী ইভেন্টে দুটি ব্রোঞ্জ এবং রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে একটি রৌপ্য পদক জয় করে। এরপর ২০২৩ সালে ব্যাংককে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার নিজেদের দেশে সম্ভাব্য সেরা অর্জনই করতে চান আর্চাররা।
আর্চারি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পদক জয়ের আশার কথা শোনান আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী রাজীব উদ্দিন চপল। এশিয়ান আর্চারির এ ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট করে বলতে চাই না। সে ক্ষেত্রে আর্চারদের ওপর চাপ পড়বে। তবে আমরা আশা করছি পদক জয় করতে পারব।’ প্রস্তুতি নিয়ে চপল বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি আগের যে কোনোবারের চেয়ে ভালো।’ আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি ড. মোখলেছুর রহমানও এবারের আসরে পদক জয়ের আশা প্রকাশ করেন। ৮ নভেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু আর্চারি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। খেলা শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। ১৩ ও ১৪ তারিখের লড়াই হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ-নেপাল ফুটবল ম্যাচ আছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। এ কারণে একই স্টেডিয়ামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেই জানালেন ফেডারেশনের সভাপতি। এবারের প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশের ২০৯ আর্চার অংশ নেবেন। এর মধ্যে ১১৯ পুরুষ ও ৯০ জন নারী প্রতিযোগী। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ডে মোট ১০টি ইভেন্টে লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ১৬ আর্চার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। প্রতিযোগীদের মধ্যে আছেন কোরিয়া ও ভারতের মতো দেশের সেরা আর্চাররা।