বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় উদ্ধার হওয়া ৩৯টি ককটেল নিষ্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বসতবাড়ি থেকে এসব ককটেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রশাদের চর এলাকার বাদশার ছেলে আতাউর রহমান সেলিম গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে এবং গ্রেপ্তার দেখায়।
বিস্ফোরণের পর মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন ও তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং বাড়ির ঘরগুলো সিলগালা করে দেয় পুলিশ।
পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ পুনরায় বাড়িটিতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে তালাবদ্ধ একটি বাক্সের ভেতরে বিশেষভাবে রাখা কয়েকটি ব্যাগ থেকে ৩৯টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ককটেলগুলো দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল টিম ৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের একটি ইউনিট জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাস থেকে এসে নিষ্ক্রিয় করে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়ারেন্ট অফিসার জাকির হোসেন।
এ নিয়ে দুই দফায় মোট ৪৪টি ককটেল উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করা হলো।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ‘গত ২ নভেম্বর ককটেল বিস্ফোরণে আহত আতাউর রহমান সেলিমকে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওইদিন ৫টি ককটেল ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল টিম নিষ্ক্রিয় করেছে।’
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ