মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে ফের আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরই কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। একজন জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে ইসলামাবাদ পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথম হবে না।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে প্রথম ছিল না এবং পুনঃরায় পরীক্ষা শুরু করার ক্ষেত্রেও প্রথম হবে না।
রবিবার সিবিএস-এর ৬০ মিনিটস অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তানসহ আরও কিছু দেশ গোপনে ভূগর্ভে পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, যা সাধারণ জনগণের অজানা। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও পরীক্ষা শুরু করবে।
ট্রাম্পের কথায়, রাশিয়া পরীক্ষা চালাচ্ছে, চীনও পরীক্ষা চালাচ্ছে, কিন্তু তারা এটা নিয়ে কথা বলে না।… আমি চাই না, পরীক্ষা না করা একমাত্র দেশ আমরাই হই।
যদিও ১৯৯৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ‘কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি’র স্বাক্ষরকারী দেশ। যা সামরিক বা বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যেই সকল পারমাণবিক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের শেষ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ১৯৯২ সালে।
উত্তর কোরিয়া ছাড়া গত কয়েক দশক ধরে অন্য কোনো দেশ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানা নেই। রাশিয়া এবং চীন যথাক্রমে ১৯৯০ এবং ১৯৯৬ সালের পর আর এমন কোনো পরীক্ষা করেনি। অন্যদিকে, পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে শেষ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। যদিও ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক সিটিবিটির স্বাক্ষরকারী নয় তবুও দেশটি সেই সময় থেকে একতরফাভাবে পারমাণবিক পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে বলে দাবি করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল