ইউরোপের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা বিস্তারের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি ঢাকার ফ্রান্স ও জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
সভায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, 'এয়ারবাস প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ের কারণে ইউরোপীয় বিমান শিল্পের গর্ব। এটি বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থার জন্য এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের বিমান খাতের বিকাশে এয়ারবাস গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে।'
জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্প্রসারণের ফলে এখন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজের চাহিদা রয়েছে। এয়ারবাস সেই চাহিদা পূরণে উপযুক্ত।'
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, 'যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।'
এয়ারবাসের কমার্সিয়াল সেলস ডিরেক্টর রাফায়েল গোমেজ নয়া সভায় জানান, 'দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটের ৭২ শতাংশ এয়ারবাসের। এয়ারবাসের পরিচালন খরচ অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম। আশা করি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও নিজেদের বহরের জন্য এয়ারবাসকে বেছে নেবে।'
বর্তমানে এয়ারবাস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য ১৪টি বিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এয়ারবাস এ-৩৫০ এবং ৪টি এ-৩২০নিও। তবে আগেই বোয়িং কোম্পানি ২৫টি বিমান বিক্রির প্রস্তাব রেখেছে এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তা যাচাই-বাছাই করছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা