ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঘোষিত ২৩৭টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামের সন্তান রওনকুল ইসলাম ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে সান্ধ্য কোর্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০২২ সালে ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০২৩ সালের আগস্টে অসুস্থতার কারণে তাকে ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তবে দুই মাসের মধ্যে তিনি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনীত হন।
৩ নভেম্বর (সোমবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কেশবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত যশোর-৬ আসনে রওনকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় রওনকুল ইসলাম বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কেশবপুর আসনটি দীর্ঘদিন বিএনপির হাতে ছিল না। আমি জনগণের ভোটে এটি পুনরুদ্ধার করতে চাই। দল আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছে, তার প্রতিদান জনগণের সেবার মাধ্যমে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। নির্বাচিত হলে কেশবপুরের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, মাদক থেকে দূরে রেখে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চায় যুক্ত করা এবং তাদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে কাজ করবেন।
৪০ বছর বয়সী এই তরুণ প্রার্থী কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে থেকে তিনি সক্রিয় ছাত্রদল কর্মী হিসেবে পরিচিতি পান এবং পরবর্তীতে সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল