ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে দেশি ও বিদেশি মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। গত রবিবার আবেদন গ্রহণের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক ফার্মার্স, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার যৌথ উদ্যোগ), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল। আবেদনকারীদের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র : জমা দিতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৬ আগস্ট নতুন করে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করে এবং একইসঙ্গে নীতিমালায় সংশোধন আনে। সংশোধিত নীতিমালায় শেল কোম্পানি যাতে স্পন্সর হিসেবে থাকতে না পারে সে বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি স্পন্সরদের উপযুক্ততা যাচাই আরও কঠোর করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধি যদি একাধিক দেশের নাগরিক হন, তবে তার সব নাগরিকত্বের তথ্য বিস্তারিতভাবে জমা দিতে হবে। পূর্বে ত্যাগ করা নাগরিকত্ব সম্পর্কেও তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি সংক্রান্ত মামলার রায় অপেক্ষমাণ অবস্থায় রয়েছে, তারা স্পন্সর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না। একইভাবে দেশে কার্যরত কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্পন্সর হতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৫২টি আবেদন থেকে দুই প্রতিষ্ঠান নগদ ও কড়িকে ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদান করে।
নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের স্পন্সর ছিল নগদ এমএফএস-এর বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী, আর কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক স্পন্সর করেছিল এসিআই গ্রুপ। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে দুর্নীতি এবং স্পন্সর সংক্রান্ত সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করে।