“মাটির মতোই নরম” এই শব্দবন্ধ যেন কবি মজেল উদ্দীনের জীবনের প্রতিচ্ছবি। ‘মাটির কাব্য’ গ্রন্থের এই লেখক একসময় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন আর রিকশা চালাতে পারেন না। সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া কবি মজেল উদ্দীনের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে কবি মজেল উদ্দীনকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
কবি মজেল উদ্দীন বলেন, আমি কিছু একটা করতে চাই। যা আমার জন্য করা কষ্টসাধ্য হবে না। আমি একসঙ্গে ১০ কেজি ওজনের কিছু তুলতে পারি না। আমার জন্য সুবিধা হয় চীনা বাদাম ভেজে বিক্রি করা। যদি কেউ আমাকে সহযোগিতা করতো তাহলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আমার বাকি জীবনটা চালিয়ে নিতে পারতাম।
কবি মজেল উদ্দীনের হাতে ৫ কেজি বাদাম বিক্রির ডালি, ছেনি, পাল্লা-পাথর, বাদাম, বিট লবণ, চালনী, হাতা, খড়িসহ প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়। যাতে তিনি আত্মসম্মান বজায় রেখে নিজ উদ্যোগে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। এই সহায়তা পেয়ে কবি মজেল উদ্দীন ভীষণ আনন্দিত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের দিনাজপুর প্রতিনিধি এমদাদুল হক মিলন, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আসতারুল আলম, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান ফুয়াদ, কার্যকরী সদস্য শিবশ্রী রায়, জীবন ইসলাম প্রমুখ।
শুভসংঘের এই উদ্যোগ শুধু একটি মানবিক সহায়তা নয়, এটি একজন সৃষ্টিশীল মানুষের আত্মমর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে পাশে দাঁড়ানোর অনন্য দৃষ্টান্ত। সমাজের এমন অসহায় আত্মনির্ভর মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই বসুন্ধরা শুভসংঘের মূল দর্শন।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া