ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম থেকে সাতটি অস্ত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে। ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত ২৮ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভল্টে ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, যার মধ্যে ১৪টি পাওয়া গেছে। সাতটি নিখোঁজ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল ‘এম ফোর কার্বাইন’ ও ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। এ অস্ত্রগুলো কোনো বাহিনীর কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এ ঘটনায় জিডি করেন শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) জামাল হোসেন। জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ২৪ অক্টোবর বিকাল সোয়া ৩টায় কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল, বিমানের জিএম (কার্গো) নজমুল হুদা, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফিরোজ রব্বানী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক ইফতেখার প্রমুখের উপস্থিতিতে মালামালের তালিকা করা হয়। পরে এসব মালামাল ভল্টে রেখে সবার উপস্থিতিতে শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে সিলগালা করা হয়।
তিনি আরও জানান, তিনিসহ কর্তব্যরত ডিএমপির পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গিয়ে সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টায় সিল-তালা দেখে এসেছিলেন। তবে পরদিন সকাল ৭টায় বিমানের নিরাপত্তা শাখার ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে- ওই স্ট্রংরুমের ভল্টের তালা লাগানো নেই। পরে তিনি বিষয়টি বিমানের ডিজিএমকে (সিকিউরিটি) জানিয়ে বিমানবন্দরে আসেন। সেখানে গিয়ে ভল্টের দরজায় কোনো তালা লাগানো দেখা যায়নি। গতকাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার বলেন, আমরা জিডির তদন্ত করছি।