পারিবারিক বা আত্মীয়তা কোটায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ভিসার জন্য আবেদনকারী এবং সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীর ডিএনএ টেস্টসহ আঙুলের ছাপ, মুখ ও চোখের আইরিস স্ক্যান টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আবেদনকারী মার্কিন নাগরিক বা গ্রিনকার্ডধারী ও সুবিধাভোগীর মধ্যকার রক্তের/জাগতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে যাতে কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিতে না পারেন এ লক্ষ্যে নতুন একটি পদ্ধতি প্রয়োগের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। ৪ নভেম্বর প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, নতুন এই পদ্ধতির প্রয়োগের লক্ষ্যে জনমত যাচাই করা হচ্ছে। আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নাগরিকরা ফেডারেল ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে তাদের মতামত দিতে পারবেন। সম্পর্কের ব্যাপারটি যথাযথভাবে যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ওই প্রক্রিয়ায় সব বয়সিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ বিদ্যমান নিয়মে ১৪ বছরের কম এবং ৭৯ বছরের বেশি বয়সিদের ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন নেই।
নতুন প্রক্রিয়ায় বয়সের এ সীমা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসাসহ গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়ার সময় টিপসই ও ছবি প্রদানের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্টদের গ্রিনকার্ড বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইউএস সিআইএসের (সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস) সন্দেহ, সম্পর্ক যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় অনেক ফাঁকফোকড় থাকায় কেউ কেউ বিদ্যমান আইনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নতুন পদ্ধতি চালু হলে জালিয়াতি ও প্রতারণা ঠেকানো সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, নতুন প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কারও ব্যাকগ্রাউন্ড বারবার যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে না। এতে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার সময়ও কমবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।