চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সিট বরাদ্দের ভাইভার রেজাল্ট প্রকাশের জন্য আন্দোলন আজকে নতুন নয়। এ হলের শিক্ষার্থীরা প্রায় সময় বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছে তাদের হলের সিটের জন্য। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে হলের সিটের রেজাল্ট না দেয়ায় আন্দোলনে নামে হলের আবাসিক ছাত্রীরা। কিন্তু তাদের এ আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন বলে হুমকি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ার বডির সদস্যরা।
এ সময় সহকারী প্রক্টর ইয়াকুব বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের কথা অনুযায়ী চলবে না। অন্য আরেক প্রক্টর মহিলা পুলিশ ডাকার হুমকি দেন।
রবিবার সকাল দশটার দিকে শেখ হাসিনা হলের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থানে বসে তারা। এসময় প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটররা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সাড়ে এগারোটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে তুমুল তর্ক-বিতর্কের পর তালা খুলে তারা।
এসময় দুইটি দাবি জানায় ছাত্রীরা। দাবি দুইটি হল, ১৪ অক্টোবরেই ভাইভার ফল প্রকাশ করতে হবে ও ২০ অক্টোবরের মধ্যে যোগ্যদের যেন নোটিশ দেওয়া হয়।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আশরাফী নিতু বলেন, যতদ্রুত সম্ভব ছাত্রীদের হলে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিজ হলে তুলে দেওয়ার বিপরীতে নিরাপত্তার কথা বলে প্রশাসন টালবাহানা করছে।
নিশাত নাওয়ার রাফা বলেন, দুই দিনের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করতে হবে। আমরা বারবার আন্দোলন করছি, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয় না।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, ভাইভা নেওয়া হয়েছে। তাদের তালিকা অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গেছে। আর হলটিতে এখনও কন্সট্রাকশানের কাজ চলায় তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আমাদের একটু দেরি করতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিটে ওঠার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সংযুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন উপাচার্যের সময়ও আন্দোলন করে আসছিল তারা। পরে প্রক্টর পরিবর্তন হওয়ার পর তাদের ভাইভা নেওয়া হয়। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এই ভাইভা নেওয়া হয়। ফল প্রকাশের জন্য এক মাসের সময়ও দেওয়া হয় বলে দাবি প্রশাসনের। তবে শিক্ষার্থীরা বলছে দশ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ