প্রতি বছরের মত বসন্তকে বরণ করে নিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। তবে মহামারীর কারণে সীমিত ছিলো আয়োজন। সকাল সাড়ে ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে বেঙ্গল মিউজিকের শিল্পীরা এসরাজে তোলেন বাসন্তী রাগ। তাতেই শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব-১৪২৮’। লাল, হলুদ কমলা, সবুজ নানা রঙয়ের শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে, হাতে মাথায় খোঁপায় ফুলের অলংকার পড়ে অনুষ্ঠান উপভোগে উপস্থিত হন তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ। একে একে পরিবেশন করা হয় কবিতা আবৃতি, সম্মিলিত সংগীত ও নৃত্য।
পহেলা ফাগুন, আর ভালোবাসা দিবস দুই’য়ে মিলে গত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, কার্জন হলসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল আর হলুদের আভা। বাসন্তী রংয়ে রাঙা হয়েছিলো কলাভবন, মল চত্ত্বর আর বটতলাও। সমাগত তরুণ-তরুণী প্রিয় মানুষদের হাত ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত।
ধানমন্ডি থেকে টিএসসি’তে ঘুরতে এসেছেন পাভেল ও নাদিয়া। বললেন, গত বছরও আক্ষেপ ছিলো এই দিনে বেড়াতে না পারার। তাই প্রিয় মানুষের সাথে বিশেষ এই দিনে ভালো কিছু সময় কাটাতে ঘুরতে এসেছেন তারা।
এদিকে, এ বছর বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসে জোয়ার এসেছে ফুলের বাজারে। বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। সোমবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকানগুলোর সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ফুলের দোকানের সামনে ভিড় জমিয়েছেন ফুল কিনতে আসা মানুষ। দোকানিরা জানান, ভালোবাসা দিবসের মত বিশেষ দিনগুলোতে তাদের বেচাকেনা বেড়ে যায়। সবচেয়ে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ ও গাঁদা ফুল। এছাড়াও মাথার রিংয়েরও বিশেষ চাহিদা আছে।
কথা হলো ফাতেমা পুষ্পালয়ের কর্মচারী বাবুর সাথে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন আনুমানিক তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন তারা। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় এবছর ছিলো না বসন্ত বরণের কোনো আয়োজন। তাতে কী? প্রকৃতি আর মানুষের বাহারি রংয়ে অপরুপ সেজেছিলো দেশের শিল্প-সংস্কৃতি’র এই হরিৎক্ষেত্র।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন