ইরান ও পারস্য নাম দুটি একটি দেশ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তবে শব্দ দুটি পুরোপুরি সমার্থক নয়। যখন আর্যরা তাদের আদি জন্মভূমি উরাল সাগরের দক্ষিণে থেকে ক্যাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী উঁচু মালভূমিতে স্থানান্তরিত হয়, তখন তারা তাদের নতুন জন্মভূমির নামকরণ করে ইরান, যার অর্থ আর্যদের জন্মভূমি।
ইরানের ইতিহাস তিন ভাগে বিভক্ত
১. প্রাগৈতিহাসিক যুগ : ধারণা করা হয়, প্রায় খ্রিস্টপূর্ব এক লাখ বছর আগে এই অঞ্চলে মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। আর এই যুগের সমাপ্তি ঘটে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের শুরুতে।
২. প্রাথমিক যুগ : এই যুগ মূলত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের প্রথমার্ধজুড়ে বিস্তৃত। যখন ইরানি মালভূমির বিভিন্ন অংশে গড়ে ওঠে সংঘবদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামোর প্রাথমিক রূপ।
৩. রাজবংশীয় যুগ : এই যুগ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে চতুর্থ শতাব্দী পর্যন্ত। এই সময়ে গড়ে ওঠে পারস্যের বিশাল সাম্রাজ্য এবং সেই সঙ্গে শুরু হয় ইতিহাসে ইরানের দৃশ্যমান উত্থান।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে পঞ্চম সহস্রাব্দের মাঝামাঝি সময়টা ইরানি ইতিহাসে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল তাম্র ও ব্রোঞ্জ যুগের ভিত্তি।
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় ও দ্বিতীয় সহস্রাব্দের শেষ ভাগে মালভূমি অঞ্চলে পূর্ববর্তী যুগের তুলনায় আরো স্পষ্ট ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য সৃষ্টি হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দে ইরানি মালভূমি ধীরে ধীরে রূপ নিতে থাকে বিশ্ব ইতিহাসের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর একটির জন্মভূমি হিসেবে। এ সময়েই গড়ে উঠতে শুরু করে গ্রামীণ জনপদ, কৃষিনির্ভর অর্থনীতি এবং নানা সামাজিক কাঠামো।
এরপর খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ অব্দের দিকে পাওয়া কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইঙ্গিত দেয়, এ সময়েই ইরানে মদ উৎপাদনের প্রাথমিক প্রচেষ্টা শুরু হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৩৯০০ অব্দে গড়ে ওঠে ইরানি মালভূমির প্রথম নগরী সিয়ালক।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৮০০ অব্দে ইরানি ইতিহাসে মধ্য এশিয়া থেকে আগত যাযাবর আর্য জাতিগোষ্ঠী ইরানি মালভূমিতে প্রবেশ করে এবং স্থায়ী বসতি স্থাপন করতে শুরু করে।
আখামেনীয় সাম্রাজ্য—খ্রিস্টপূর্ব ৫৫৯্ল্ল্ল্ল-৫৩০ অব্দ : এই সময়েই আবির্ভূত হন ইতিহাসের অন্যতম শাসক সাইরাস দ্য গ্রেট। আখামেনীয় আরেক শাসক ছিলেন রাজা দারিয়াস, তাঁর যুগেই ইতিহাসের প্রাচীনতম স্বর্ণমুদ্রা ‘দারিক’ চালু হয়, যা প্রাচ্যজুড়ে লেনদেনের গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হয়ে ওঠে।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মৃত্যুর পর তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য সেনাপতিদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। এই সেনাপতিদের একজন ছিলেন সেলুকাস, যিনি পরবর্তীকালে নিজের নামে ‘সেলুসিড সাম্রাজ্য’ প্রতিষ্ঠা করেন।
খ্রিস্টপূর্ব ২৪৭-২২৪ অব্দ : পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ২২৪ সালে প্রথম আরদাশির সাসানীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। খ্রি. পূ. ২৪০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র শাপুর তাঁর নেতৃত্বের উত্তরসূরি হন।
৩০১-৩১০ খ্রিস্টাব্দ : দ্বিতীয় হরমিজদ ইরানের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ৫৩১ থেকে ৫৭৯ খ্রিস্টাব্দে খসরু আনুশিরওয়ান ইরানের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে আবির্ভূত হন। এবং ৬২২ খ্রিস্টাব্দে নবী মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন
৬২৯-৬৩২ খ্রিস্টাব্দ : সাসানীয় সম্রাট খসরু পারভেজের কন্যা বুরান্দাখত ও তাঁর বোন আজারমাদোখত পালাক্রমে সিংহাসনে বসেন।
৬৪২ খ্রিস্টাব্দ : নাহাভান্দের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী পারস্যকে পরাজিত করে। এর মাধ্যমে সাসানীয় সাম্রাজ্যের ৪০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে এবং ইরানিরা ধীরে ধীরে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম শাসন মেনে নেয়।
৬৬১-৭৫০ খ্রিস্টাব্দ : উমাইয়া খিলাফতের শাসনে বিজিত অঞ্চলগুলো পরাধীন হয়ে পড়ে। আরবি ভাষা ও লিপি ফারসি সংস্কৃতিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। ফলে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজধানী দামেস্ক থেকে বাগদাদে স্থানান্তরিত হয়।
৭৫০-১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ : আব্বাসীয় শাসনে পারস্যের ইসলামী সভ্যতা জ্ঞান, সংস্কৃতি ও শাসনে নিজের শিখরে পৌঁছে। এ যুগে সিবাওয়াইহ, আল-খাওয়ারিজমি, ইমাম রাজি, ইবনে সিনা, আল-গাজ্জালি, ওমর খৈয়াম ও ফেরদৌসির মতো মহান মুসলিম পণ্ডিতরা আবির্ভূত হন।
মঙ্গোলীয় যুগ
১২২০-১২২৭ খ্রিস্টাব্দ : চেঙ্গিস খান চীনের পর ইরান আক্রমণ করে ব্যাপক ধ্বংস চালান। ইরানিদের ভাষ্য মতে, ‘তারা এলো, হত্যা করল, জ্বালিয়ে দিল, লুট করল এবং চলে গেল।’
১২৫৮-১৩৫৩ খ্রিস্টাব্দ : মঙ্গোল শাসক হালাকু খাঁ ও তাঁর বংশধররা রাজত্ব করেন।
তৈমুরি যুগ
১৪০৫ খ্রিস্টাব্দ : তৈমুর লং পারস্যসহ আলেপ্পো ও দামেস্ক দখল করেন।
সাফাভি সাম্রাজ্য
১৫০১-১৫২৪ খ্রিস্টাব্দ : এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইসমাইল মির্জা।
১৫৮৭-১৬২৯ খ্রিস্টাব্দ : শাহ আব্বাস সাফাভি সাম্রাজ্যের রাজধানী ইসফাহানে স্থানান্তর করেন।
১৭২২ খ্রিস্টাব্দ : আফগান নেতা মাহমুদ খান পারস্যে আক্রমণ চালিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইসফাহান দখল করে সাফাভি শাসনের অবসান ঘটান।
১৭২৯-১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দ: নাদের কোলি আফশারি রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৪৭-১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দ : করিম খান জান্দ ইরানের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজারদের প্রতিহত করেন এবং শিরাজকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দ : কাজাররা তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি আগা মোহাম্মদ খান কঠোরতা, সহিংসতা ও নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে গোত্রের বিভক্ত শাখাকে একত্র করতে সক্ষম হন।
১৮১৩-১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ : ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের প্রভাবে এই সময়ে ইরানে ব্রিটিশ ও রাশিয়ান প্রভাব বিস্তারের পথ খুলে যায়। কাজার শাসকরা রুশ আগ্রাসনের মুখে দুটি লজ্জাজনক চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন ১৮১৩ সালের গোলেস্তান চুক্তি এবং ১৮২৮ সালের তুর্কমাঞ্চায় চুক্তি।
১৮৩৪-১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ : ফাতেহ আলী শাহের নাতি মুহাম্মদ শাহ এই সময়ে ইরানের সিংহাসন আরোহণ করেন।
১৮৪৮-১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দ : মুহাম্মদ শাহের পুত্র নাসিরুদ্দিন শাহ দীর্ঘ প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ইরান শাসন করেন।
১৮৫৮ সালে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে ইরান আফগানিস্তানের স্বাধীনতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ : এই সময়ে ইরানে সাংবিধানিক বিপ্ল্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন একদল ধর্মীয় পণ্ডিত, যাঁদের পেছনে সমর্থন ছিল বণিক শ্রেণি ও অভিজাত সমাজের। বিপ্লবের ফলে ইরানে প্রথমবারের মতো একটি জাতীয় সংসদ গঠিত হয়।
১৯২১ খ্রিস্টাব্দ : সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ কর্মকর্তা রেজা খান সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তিনি ১৯২৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৯২৫-১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ : রেজা শাহ পাহলভি সিংহাসনে বসার পর তিনি প্রথমে সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সামরিক কাঠামো গড়ে তোলেন এবং ঘোষণা দেন যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটি পারস্য নয়, বরং ইরান নামে পরিচিত হবে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে রেজা শাহ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে মিত্রশক্তির পাশে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটিশ ও সোভিয়েত শক্তির চাপে তাঁকে সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
১৯৫১-১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ : মোহাম্মদ মোসাদ্দেক যখন ইরানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন তখন তিনি দেশের তেলশিল্পকে ব্রিটিশ করপোরেশনের হাত থেকে মুক্ত করে জাতীয়করণ ঘোষণা করেন। এর জেরে ব্রিটেন তাদের ব্যাংকগুলোতে ইরানের সব সম্পদ জব্দ করে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যায়।
১৯৬২-১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ : শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে শ্বেত বিপ্লব ঘোষণা করেন। তবে এই উদ্যোগ প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। বিশেষত আয়াতুল্লাহ খোমেনি, শ্বেত বিপবের নীতিগুলো কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। ফলে তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।
১৯৬৩-১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ : এই সময় ইরান দ্রুত তুলনামূলক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে দেশটি সামরিক শক্তিতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পায়।
১৯৭০-এর দশকের শেষ ভাগে, শাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধিতা শুরু হয়। ধর্মীয় নেতারা, বিশেষ করে আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল ও জনগণ একত্র হয়ে শাহের শাসন উত্খাতের আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। প্রায় দুই হাজার ৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়।
১৬ জানুয়ারি ১৯৭৯ : শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ক্ষমতা থেকে উত্খাত করে শাপুর বখতিয়ারকে ইরানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ : ফ্রান্সে ১৫ বছর নির্বাসনের পর আয়াতুল্লাহ খোমেনি ইরানে ফিরে আসেন, যার আগমন দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে একেবারে পাল্টে দেয়।
১ এপ্রিল ১৯৭৯: খোমেনি ঘোষণা করেন ইরানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, যা দেশের নতুন শাসনব্যবস্থার সূচনা করে।
৪ নভেম্বর ১৯৭৯ : ক্ষমতাচ্যুত শাহের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য আগমনের পর তেহরানে ইরানি ছাত্রদের একটি গ্রুপ মার্কিন দূতাবাসে অভিযান চালিয়ে ৫২ জন আমেরিকানকে বন্দি করে। এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী ইরান-আমেরিকা কূটনৈতিক সংকটের সূচনা করে।
১৯৮০ সালের জানুয়ারিতে ড. আবুল হাসান বানিসাদর ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও দেশের ক্ষমতা আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল।
২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০: সীমান্ত বিরোধ ও রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে ইরাক ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে আক্রমণ চালায়, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম প্রচলিত ইরান-ইরাক যুদ্ধ। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আট বছর ধরে চলে এবং এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।
২০ জানুয়ারি ১৯৮১ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের অভিষেকের দিন ৪৪৪ দিন ধরে বন্দি থাকা ৫২ জন আমেরিকান জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
৪ জুন ১৯৮৯ : ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি মৃত্যুবরণ করার পর আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নতুন সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন, যার মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
(আলজাজিরা আরবিসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট অবলম্বনে)
বিডি প্রতিদিন/মুসা