ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন হবে অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য ও উৎসবমুখর। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই। গতকাল দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং কৃষি উৎপাদন, সার, বীজ ও সেচ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে। মূল ফ্যাক্টর হচ্ছে জনগণ। জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে কেউ কিছু করতে পারবে না। এ ছাড়া যেসব দল অংশ নিবে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করলে কোনো সমস্যা হবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জামিন পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীরা অনেক কথা বলবে, অনেক গুজব রটাবে, তারা যেন কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা নেব। পার্শ্ববর্তী দেশ অনেক সময় গুজব ছড়ায় অভিযোগ করে উপদেষ্টা বলেন, সত্যি ঘটনাটা আপনারা (সাংবাদিক) তুলে ধরে যদি বলেন তারা মিথ্যা বলছে, তবে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়, যেটা আপনারা করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
মাদক, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি নির্মূলে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, সমাজে এগুলোর বিস্তার বেড়ে গেছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভায় আলোচনা হয়েছে।
গাজীপুরে পুলিশের ঘাটতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটি সত্য, এখানে পুলিশের সংখ্যা কম। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আরও সদস্য যোগ করা হবে।
জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সোহেল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, গাজীপুর সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক প্রমুখ।