যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তেহরান সম্ভবত আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারবে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি বলেন, “তারা (ইরান) কয়েক মাসের মধ্যে বা এরও কম সময়ে কয়েকটি সেন্ট্রিফিউজ চালু ও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে সক্ষম হতে পারে।”
সাক্ষাৎকারটির অনুলিপি শনিবার সিবিএস নিউজে প্রকাশিত হয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, হামলার আগে ইরান তাদের প্রায় ৪০৮ দশমিক ৬ কেজি (৯০০ পাউন্ড) উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুতের কিছু অংশ বা পুরোটা সরিয়ে নিতে পেরেছিল কি না।
এসব ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা। এ মাত্রা বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য বেশি হলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী মানের কম। উপাদানটি আরও পরিশোধন করা হলে (৯০ শতাংশ পর্যন্ত মাত্রায়) তাত্ত্বিকভাবে এটি ৯টির বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট হবে।
সিবিএসকে গ্রোসি বলেন, “আমরা জানি না, এই উপাদান (ইউরেনিয়াম) এখন কোথায় আছে। কিছু অংশ হয়তো হামলায় ধ্বংস হয়েছে। আবার কিছু সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। একসময় বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”
উল্লেখ্য, ইসরায়েল গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তেল আবিবের। যদিও ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
ইরানের সঙ্গে ইসরায়েল পুরোদমে সংঘাত শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্রও তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ‘গুরুতর’। তবে এ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক দশকের জন্য পিছিয়ে পড়েছে।
কিন্তু আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, “ইরানের এখনও কিছু (পারমাণবিক স্থাপনা) টিকে আছে।” সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ