প্রতিষ্ঠার পঞ্চম বছরে পা দিলো কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান, সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন প্রমূখ। আয়োজনে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।
পরে টিএসসি থেকে একটি পতাকা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় উদযাপন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, শিক্ষা, অধিকার ও প্রগতির মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া, রাজপথে শ্রম, ঘাম ও রক্ত দিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের অধিকার আদায়ের আজ চতুর্থ বছর। আজকের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা স্মরণ করছি ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। যাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা আজকে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তার মুক্তির দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পটভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। যদিও সেসময় এর নাম ছিলো ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর এর নাম পরিবর্তন করা হয়। সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে তিনি ‘গণ অধিকার পরিষদ’ নামে একটি আরেকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন