ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (EDGE) প্রকল্পের অধীনে ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। গতবছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ ট্রেইনিং সেশনে চল্লিশটি ব্যাচে মোট বারশত (১২০০) শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।‘ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং’ প্রোগ্রামটির সমাপনী অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
রবিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনবে সিনা বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রোগ্রামটির আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন অধ্যাপক ড. মো: ফারুকুজ্জামান খান।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রবিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রোকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুঞ্জুরুল হক।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রবিউল হক বলেন, ‘যারা কঠোর পরিশ্রম করে আজকের এই সনদ অর্জন করেছে তাদের সবাইকে অভিনন্দন। তোমাদের অর্জিত এ জ্ঞান শিক্ষাজীবনে এবং কর্মজীবনে বিশেষ অবদান রাখবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আমি যেকোনো মোটিভেশনাল আলোচনাতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করি। আমি ভিসি না হলে এই স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপর এতো বেশি গুরুত্ব দিতাম না। কারণ আমি এই প্রশাসনিক পদে থাকার কারণে আমার অনেকের সাথে কাজ করতে হয় যেখানে আমি স্কিল এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। আমরা কোনো কিছু জানতে চাইলে প্রথমে ইনফরমেশন দরকার হয়। ইনফরমেশন টা পেয়ে গেলে সেটা জ্ঞানে পরিনত হয়। আর এই জ্ঞানটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই হলো দক্ষতা। স্কিলে আমরা যতো বেশি ক্যাপাসিটি অর্জন করবো আমাদের জন্য ততো উপকার। স্মার্টনেস বলতে আমরা সেটাকেই বুঝি যে যুগ যেটা ডিমান্ড করে সেটা নিজের মধ্যে আয়ত্ত করা।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল