কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস।
সকালে শিশুদের জন্য গাহি সাম্যের গান মঞ্চে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাসহকারে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে ডিন অফিস, বিভাগীয় অফিস, হল প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি (১১-১৬ গ্রেড), কর্মচারী ইউনিয়ন (১৭-২০ গ্রেড), বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলসহ অন্যান্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষ্যে কেককাটা, বেলুন ওড়ানো, পায়রা অবমুক্তকরণ ও শিশু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মবিষয়ক আর্ট ক্যাম্প ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারের লাইব্রেরি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বঙ্গবন্ধু কর্ণারে লাইব্রেরি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনশতাধিক বই স্থান পেয়েছে। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। বিকেল চারটায় গাহি সাম্যের গান মঞ্চে শুরু হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি স্বাধীনতার আগেই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে তার পরিকল্পনা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় শিশুদের নিয়ে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করতেন। খুব সহজ ও সরলভাবে শিশুদের সাথে মিশে যেতে পারতেন। আজকের শিশু আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক। তাই শিশুদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চেতনার বীজ বপণের এখনই উপযুক্ত সময়। তারাই আমাদেরকে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবে।
অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তুহিনুর রহমান, বঙ্গবন্ধু-নীল দলের সভাপতি ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, কর্মচারী সমিতি (১১-১৬ গ্রেড) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, কর্মচারী ইউনিয়নের (১৭-২০ গ্রেড) সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবসহ অন্যান্যরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
এরপর সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার মধ্যদিয়ে দিবসটির সমাপ্তি হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ