সমকামিতা, যৌন হয়রানি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম-কে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একাধিক বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা ও তদন্ত শেষে ৩১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে চাকরিচ্যুতির আদেশ কার্যকর করা হয়। বিষয়টি সোমবার (৩০ জুন) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি ও ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকল বর্ষের পক্ষ থেকে অভিযোগ বজায় রেখে পুনরায় তদন্তের দাবি জানালে, ২৬৭তম সভায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৬৮তম সাধারণ সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) ধারা অনুযায়ী চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিভাগটির শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দীন বলেন, “প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেলাম। আমরা অত্যন্ত খুশি। ক্যাম্পাসে এমন অনেক ‘হাফিজ’ আছে, প্রশাসনের উচিত তাদেরও খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া।”
চাকরিচ্যুত হাফিজুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর, শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমকামিতা, যৌন হয়রানি, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কটূ মন্তব্য, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দেওয়া, ছাত্রলীগের মিছিলে বাধ্য করা, ফলাফল ইচ্ছাকৃত খারাপ করে দেওয়াসহ মোট ২৭টি অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যুতির দাবিতে বিভাগজুড়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক