রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে গতকাল স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের ১৭ বছর বয়সি সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেন, তাঁর স্ত্রী স্বপ্না এবং তাঁদের প্রতিবন্ধী ছেলে আরাফাত হোসেন নাইম।
পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য মনির হোসেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে শনিবার ঢাকায় আসেন। ডাক্তার দেখাতে না পেরে তাঁরা মগবাজারের ‘হোটেল সুইট স্লিপ’-এ রাত যাপন করেন। ওই রাতে তাঁরা মগবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে হোটেলকক্ষে খান। এরপরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতকাল সকালে মনির হোসেন তাঁর আত্মীয়দের ফোন করে জানান, তাঁরা তিনজনই অসুস্থ অনুভব করছেন এবং বমি করছেন। খবর পেয়ে আত্মীয়রা হোটেলে ছুটে আসেন। তখন স্বপ্না ও আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। মনির হোসেনও পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, খাদ্যে বিষক্রিয়াই এই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে হোটেল রুমের সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেলের অন্যান্য অংশের এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। যাচাই করা হচ্ছে, ঘটনার সময় তাঁদের কক্ষে কেউ প্রবেশ করেছিল কি না। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের ওপরই নির্ভর করতে হবে বলে জানিয়েছেন ওসি গোলাম ফারুক। লাশ তিনটি আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মনির হোসেনের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলায়। তাঁর বাবার নাম সেরাজুল হক ব্যাপারী।