গণভোটে যাতে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হয় সেজন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করবে আট দল। আগামী ৩০ নভেম্বর রংপুর শহরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হবে, শেষ হবে ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে। গতকাল পুরানা পল্টনে আন্দোলনরত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত
ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র (জাগপা) ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য রিয়াদ হোসাইন রায়হান প্রমুখ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী রবিবার (৩০ নভেম্বর) রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ রংপুর শহরে হবে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে, ২ ডিসেম্বর খুলনায়, ৩ ডিসেম্বর বরিশালে, ৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে, ৫ ডিসেম্বর সিলেটে এবং ৬ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রামে সমাবেশ হবে। এসব সমাবেশে আট দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। ইউসুফ আশরাফ বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। গত কয়েকদিন আগে মিরপুরে যুবদলের নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি অনেক হত্যাকা সংঘটিত হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারেও বাধা, হুমকির শিকার হতে হচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যে পরিমাণ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তাতে এক-দুজনের ফাঁসির রায় খুব অল্প বিচার। আট দলের জোটের পরিধি বিস্তৃত করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আট দলের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে। অন্য দলের জন্যও দরজা উন্মুক্ত রয়েছে। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন করার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে কি না তা নিয়েও সন্দিহান বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের এই নেতা।