ইউরোপীয় ও মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রবল চাপের মুখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডেটা গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিধিমালার সংস্কার পরিকল্পনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল এ নতুন পরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। এতে বলা হয়েছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোই এ সংস্কারের মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ব্যবসাগুলো যেন তাদের আমেরিকান ও চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে এবং বিদেশি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা কমে, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তি প্রধান হেনা ভিরকুনেন ও ডেটা সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিচারবিষয়ক কমিশনার মাইকেল ম্যাকগ্রা গতকাল যৌথভাবে এ পরিকল্পনা পেশ করার কথা ছিল।-এএফপি
অবশ্য ইইউ দাবি করেছে, ডিজিটাল আইন সরলীকরণে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো প্রভাব নেই। বিধিনিষেধের ওপর অতিরিক্ত নজর দিতে গিয়ে নতুন উদ্ভাবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে ব্রাসেলস জোর দিয়ে বলছে, তারা ইউরোপীয় নাগরিকদের ডেটা সুরক্ষার অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। মঙ্গলবার বার্লিনে অনুষ্ঠিত ফ্রাঙ্কো-জার্মান শীর্ষ বৈঠকে এআই প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপ মার্কিন ও চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভরশীল বা তাদের ‘অধীনস্থ’ হতে চায় না। বিশ্বজুড়ে ইইউর আইনগুলোর প্রভাব বা তথাকথিত ‘ব্রাসেলস ইফেক্ট’ নিয়ে এক সময় গর্ব করা হতো। কিন্তু এখন আইন প্রণেতা ও অধিকার কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, ইইউ হয়তো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর নজরদারি থেকে পিছু হটছে। -এএফপি ও রয়টার্স