ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টার্নোপিলে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। হামলায় দুটি বহুতল আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় উদ্ধার কর্মকর্তারা। ২০২২ সালে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম ইউক্রেনে রাশিয়ার চালানো প্রাণঘাতী হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ হামলায় আরও ৭৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৫ শিশু। টার্নোপিল ছাড়াও লভিভ এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক নামে আরও দুটি পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় শহর খারকিভের তিনটি জেলায় ড্রোন হামলায় ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে ভবন ও গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ হামলার কারণে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ৪৭০টিরও বেশি ড্রোন ও ৪৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তিনি সতর্ক করেছেন যে, টার্নোপিলে ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষ আটকে থাকতে পারে। -বিবিসি
জেলেনস্কির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুটি ফ্ল্যাট ব্লকের মধ্যে একটি পুরোপুরি ধসে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লিমেনকো বলেছেন, ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে নবম তলা পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায় এবং ছোট ছোট আগুন জ্বলছিল। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষে তল্লাশি চালিয়েছেন। টার্নোপিলের আওয়ার লেডি অফ পার্পেচুয়াল হেল্প চার্চের পেছনে দূরে বড় আকারের ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। পুরো শহরজুড়ে বাজতে থাকে সাইরেন। পশ্চিম ইউক্রেনের অন্যান্য স্থানে জ্বালানি সুবিধা, পরিবহন এবং বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলে জ্বালানি খাতে আক্রমণ করা হয়, যেখানে আহত তিনজনের মধ্যে দুজনই ছিল শিশু। লভিভ অঞ্চলের প্রধান জানিয়েছেন, একটি জ্বালানি কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়েছে। -বিবিসি