অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকিসহ অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। বুধবার আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবাইলোজি স্টুডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাপ্টারের আয়োজনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
আয়োজকরা বলছেন, দেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ক্রমেই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ এবং যত্রতত্র দোকানে এই ওষুধের সহজলভ্যতা ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়েছে বহুগুণ। অ্যামোক্সিসিলিন, সেফিক্সিম, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও মেট্রোনিডাজলের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকরিতা কমে গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাকটেরিয়া এসব ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্স এখন বিশ্বের শীর্ষ ১০টি স্বাস্থ্য ঝুঁকির অন্যতম। প্রতি বছর বিশ্বে এ কারণেই প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সভাপতি ড. ইমতিয়াজ হাসান বলেন, অবিলম্বে দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। সরকারি তদারকির মাধ্যমে যত্রতত্র এসব ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। জনসচেতনতায় গ্রাম-গঞ্জে সচেতনত ক্যাম্প করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের ঝুঁকি তীব্র হবে।
কর্মসূচির প্রথমদিন সচেতনতা র্যালি ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
