এক মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে একজন মানুষ বেড়ে উঠেছে একটি নামে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর আকস্মিকভাবে সে জানতে পারে তার গর্ভধারিণী মায়ের ধর্ম আর তার ধর্ম এক নয়। ধর্ম পরিচয়ে যে ফারাক রচিত হয় তা কি মা-ছেলের সম্পর্ককে ফারাক করে দিতে পারে? ধর্মের ভিন্নতার কারণে ছেলে কি অস্বীকার করতে পারে তার মাকে? মানবিক সম্পর্ক আর বাহ্যিক আচার সর্বস্ব সম্পর্ক-দুইয়ের মধ্যে কোনটির রয়েছে নাড়ি ছেঁড়া টান? এমনি সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এবং মানবের স্বরূপ প্রকাশের চেষ্টা হয়েছে 'মিরাজ ফকিরের মা' নাটকে। ১৯৯৫ সালে নাটকটি রচনা করেন প্রখ্যাত নাট্যকার আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুনের এই নাটকটি অবলম্বনে আগামীকাল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চায়িত হবে সামাজিক যাত্রাপালা 'ধীরেন অপেরার আলো'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজুর নির্দেশনায় শেখ রাসেল মাঠে রাত ৮ টায় মঞ্চায়িত হবে যাত্রাপালাটি।
যাত্রাপালাটি উপভোগ করতে টিকেট কেটে মঞ্চে প্রবেশ করতে হবে দর্শকদের। দর্শকদের জন্য প্রথম শ্রেণীর টিকেট মূল্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণী ১০০ টাকা ও বাংলার মাটি ৫০ টাকা।
এ বিষয়ে যাত্রাপালাটির নির্দেশক রহমান রাজু বলেন, 'ধীরেন অপেরা আলো' সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যাত্রাপালার নব যাত্রার শিরনামে সারা বাংলাদেশে একশটি যাত্রাপালা আয়োজন করেছে। তারমধ্যে ৯৩টি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগকে, ফোকলোর বিভাগ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগের যেসব যাত্রাপালা হয়েছে সেগুলো করছি না। যেটা আগে কখনো হয়নি 'মেরাজ ফকিরের মা' আব্দুল্লা আল মামুনের রচিত নাটক। এটাকে আমরা যাত্রাপালা ধীরেন অপেরা আলো নামে আগামীকাল মঞ্চায়ন করবো। মঞ্চত্ব করবে ফোকলোর বিভাগেরই দল, আমি নির্দেশনা দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, মেরাজ ফকিরের মা মূলভাব হলো মা, দেশ, ভাষা ও ধর্ম। এই চারটি মানুষের বড় শ্রদ্ধার আসন। সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করা। স্ব ভাষা, স্ব দেশ, মা এবং ধর্ম এই চারটি জিনিস মানুষের মর্যাদা পূর্ণ আসিন। আগামীকাল রাত ৮টায় যাত্রা পালাটি অনুষ্ঠিত হবে। যাত্রা পালার সময় ১ঘণ্টা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ