২০২০ সালে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় করোনা পরীক্ষা ও ডাক্তার-নার্সদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজি ও মলিকুলার বায়োলজিস্টরা। তাদের সম্মাননা জানিয়েছে গ্রাজুয়েট বায়োকেমিস্ট এসোসিয়েশন-জিবিএ।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সেমিনার হলে তাদের সম্মাননা প্রদান ও ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া এশিয়ার নোবেল খ্যাত দ্যা রেমন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রাপ্তির জন্য প্রফেসর ড. ফেরদৌস কাদরীকে এবং বেসিস লুনা শাসছুদ্দোহা অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রাপ্তির জন্য প্রফেসর ড. হাসিনা খানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ অতিমারীর ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল বায়োকেমিস্ট ও মলিকুলার বায়োলজিস্টগণ সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বায়োসেফটি, বায়োসিকিউরিটি, নমুনা সংগ্রহ, নমুনা প্রসেসিং এবং আরটি-পিসিআর এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা ও ফলাফল নিরুপণ বিষয়ে চিকিৎসক, টেকনোলোজিস্ট ও সাপোর্ট স্টাফদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং নিজেরাও আরটি-পিসিআর করে ফলাফল দিয়েছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে জিবিএ এর সভাপতি প্রফেসর ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু সাইদ মুহাম্মদ শামীম, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. হাসিনা খান, য়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. ইমরান কবীর চৌধুরী, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ইয়ারুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কোভিড সম্মূখ যোদ্ধা হিসেবে ৪৯ জনকে সম্মাননা ও সনদ এবং সম্মুখ যোদ্ধাদের প্রশিক্ষক হিসেবে ৬ জন ও সম্পূর্ণ কার্যক্রমটি সমন্বয়ের জন্য ১৬ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল