চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ আগেও প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ৯৬-৯৮ টাকা, কিন্তু শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছিল ৬৬ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। ৮০ টাকার মসুর ডাল (মোটা দানা) এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। ৪০ টাকার পিয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। ৮০ টাকার কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা।
এভাবে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস ওঠেছে। ফলে ঊর্ধ্বমুখি বাজার মূল্যে নিম্ন ও সীমিত আয়ের, সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রাণ এখন ওষ্ঠাগত। বাধ্য হয়েই অগ্নিমূল্যে পণ্য কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই নিত্যভোগ্য পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোথাও কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাহলে প্রশ্ন জাগে-নিত্যভোগ্য পণ্যের বাজার কে নিয়ন্ত্রণ করে। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই কেন অতি জরুরি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনায় কারও কোনো নজরদারি নেই। ফলে পণ্যের ঊর্ধ্বমুখি মূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।
বক্সির হাটের ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন বলেন, শীত মৌসুম সামনে রেখে এখন বিয়ে মেজবানসহ সামাজিক অনুষ্ঠান বাড়ছে। তাছাড়া রেস্টুরেন্টেও পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। এরই মধ্যে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহও কমছে। তাই দাম বাড়ছে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবজিসহ কিছু পণ্যের দাম কমে যাবে।
চট্টগ্রাম নগরের বক্সির হাট, সিরাজুদ্দৌলা রোড, রেয়াজুদ্দিন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, তিত করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা। তাছাড়া মুলা, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁডশ, পটল, করলা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বিভিন্ন শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন