চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। সরকারি হাসপাতাল সমূহে রোগীর চাপও কমছে। ফলে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া করোনা আইসোলেশন সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেন্টারগুলো আবারও চালু করার পরিকল্পনা আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ার পর চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ৬০ শয্যার হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এবং ৬০ শয্যার রেলওয়ে হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়। সেখানে উপজেলা থেকে জনবল ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে চিকিৎসার উপযোগী করে তোলা হয়। একই সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরের লালদীঘি পাড়ে ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করে। তবে ক্রমান্বয়ে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২০০ শয্যার এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু আছে। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে গতে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি থাকছে এবং চমেক হাসপাতালের ইয়েলো ও রেড জোন মিলে ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন করে। একই সঙ্গে বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেট্রোলিটন হাসপাতাল, পার্ক ভিউসহ সবগুলো হাসপাতালের করোনা রোগী ভর্তি কমে গেছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হলি ক্রিসেন্ট রোগী ভর্তি বন্ধ। তাছাড়া রেলওয়ে হাসপাতালটি বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানেও আপাতত রোগী থাকছে না। তবে জেনারেল হাসপাতালটি এখনও পুরোই করোনা আইসেলেশন সেন্টার হিসাবে আছে। এখনও পর্যন্ত অন্তঃবিভাগে নন কভিড রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। কেবল রোগীদের স্বার্থে বহির্বিভাগ চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবারও সেন্টারগুলো চালু করার সুযোগ আছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার একদিনে আক্রান্ত হন ২৫ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৩ জন এবং উপজেলায় ১২ জন। গত সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় এক লাখ ২ হাজার ৫০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭৩ হাজার ৮৫৯ জন এবং উপজেলায় ২৮ হাজার ১৯১ জন। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৩১২ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭২০ জন ও উপজেলায় ৫৯২ জন।
বিডি প্রতিদিন/এএম