জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ গণপরিবহন। টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরী ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ।
গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নিচ্ছে সিএনজি টেক্সিসহ অন্যান্য পরিবহনগুলো। বন্দরের কন্টেইনার খালাস ও ডিপোতে আসা-যাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও কন্টেইনার পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই নগরীর ১৫টি রুটে বাস, ১৭টি রুটে হিউম্যান হলার এবং ২১টি রুটে টেম্পু চলাচল বন্ধ আছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার নগরীর প্রায় সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে সকালে নগরী থেকে চবি অভিমুখে কিছু বাস ও হিউম্যান হলার ছেড়ে গেছে। সিএনজি টেক্সি, রিকশা ও মোটরচালিত রিকশা চলাচল স্বাভাবিক ছিল। গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সিএনজি টেক্সি এবং রিকশা চালকদের বিরুদ্ধে।
পরিবহন ধর্মঘটে বন্দরের পরিস্থিতি
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। জেটিতে জাহাজ থেকে কন্টেইনার খালাস এবং উত্তোলন রয়েছে স্বাভাবিক। ইয়ার্ডে কন্টেইনার ও খোলা পণ্যবোঝাই জাহাজ কোনো পরিবহন প্রবেশ করেনি। এ অবস্থায় বন্দরে কন্টেইনার জট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বন্দর সংলগ্ন নিমতলাসহ আশপাশের এলাকায় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। নগরীতে মাঝে মাঝে দু’কয়েকটি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান দেখা গেলেও বন্দর অভিমুখী পণ্যবাহী কোনো যান দেখা যায়নি।
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অ্যাসাইনমেন্টও ছিল কম। জাহাজে কনন্টেইনার ওঠানামা ও ডিপোতে নিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক আছে। তবে দুই-তিন দিন ডেলিভারি বন্ধ থাকলে ইয়ার্ডে বড় ধরনের জট তৈরি হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই