সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ‘শিকলে বাঁধা অবুঝ বানরছানা, হবে বিক্রি!’ শিরোনামের প্রতিবেদন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গভীরভাবে আমলে নেন এবং দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বনবিভাগকে নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট তদন্ত ও অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মিরপুর-১ এর পাখির হাটে একটি বানরছানা বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল এবং পরে তা সাভারে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়। দুই দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার পর রবিবার সাভারের একটি বাসা থেকে অবুঝ বানরছানাটি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে উদ্ধার করা বানরছানাটি বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর বানরছানাটিকে তার উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী এ ধরনের কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এছাড়া, মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার জোকা গ্রামে এক কৃষক পাটক্ষেতে দলছুট অবস্থায় একটি গন্ধগোকুলের বাচ্চা খুঁজে পান। জনৈক রেজোয়ান ইসলাম কৃষকের কাছ থেকে বাচ্চাটি সংগ্রহ করে বনবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বনবিভাগ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বনবিভাগ যশোরের আওতাধীন মাগুরা এসএফএনটিসিতে নিয়ে আসে। গন্ধগোকুলের বাচ্চাটি বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, তবে তার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হচ্ছে। সুস্থ হওয়ার পর এটিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ