পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইহুদিবাদী মিত্রকে ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আগ্রাসনের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় তেহরান পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করবে না।”
এক সাক্ষাৎকারে ইরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের কারণে আলোচনার ক্ষেত্রে ‘স্বাভাবিক অবস্থায়’ ফেরা সম্ভব নয়।”
আরাঘচি বলেন, “তারা ব্যাখ্যা করুক, আলোচনার মধ্যেই কেন আমাদের ওপর হামলা করল? তারা নিশ্চয়তা দিক যে ভবিষ্যত আলোচনার সময় এরকম ঘটনা ঘটবে না। তারা আমাদের যেসব ক্ষতি করেছে, সেসবের ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে।”
ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের মাঝেও যুক্তরাষ্ট্রের দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে পরোক্ষ যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। তিনি ‘উইন-উইন’ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিলেও স্বীকার করেন, ‘বিশ্বাস মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন আরাঘচি।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন, “আলোচনার পথ সংকীর্ণ হলেও তা পুরোপুরি বন্ধ নয়। আমি আমার নেতাকে বোঝাতে চাই যদি আমরা আলোচনায় যাই তাহলে অপর পক্ষও বাস্তবসম্মত সমাধান নিয়ে আসবে ন্যায্য সমঝোতার লক্ষ্যে।”
তিনি আরও বলেন, “আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বিশ্বাস ফেরানোর পদক্ষেপ দরকার। তাদেরকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও ভবিষ্যৎ হামলা না করার বিষয়ে স্পষ্ট নিশ্চয়তা দিতে হবে।” সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ