দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ১৯টি ইউপিতে বিদ্রোহী রয়েছেন। এই ভোটের মাঠে বিএনপি না থাকলেও আছেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও ফটিকছড়ি উপজেলার ৩৭ ইউনিয়নেও ভোট হবে। এর মধ্যে ১৯টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই দলের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। বিদ্রোহীদের নিয়ে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেও কোন ধরণের সুরাহা হয়নি। ফলে নির্বাচনী সহিংতার আশংকা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এতে প্রশাসনের প্রস্তুতিও রয়েছে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্য। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিরতিহীন ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে উক্ত ইউপি নির্বাচন করার জন্য প্রশাসন সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। এতে কেউ অনিয়ম বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান বলেন, দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা নির্বাচন করছেন, এমন বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও কঠোর নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। নৌকা প্রতীক যারা পেয়েছেন, তাদের পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীরা কাজ করবেন। দলের প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহীদের পক্ষে নেতা-কর্মীরা কাজ করলে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্রোহীদের বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেও তেমন কোন ফলাফল পায়নি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটি যেই নির্দেশনা দিবেন, সেভাবেই কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম