চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯.১০ একর জায়গায়কে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গুলিয়াাখালী সৈকতকে সংরক্ষিত পর্যটন স্পট ঘোষণা করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বা অন্য কোনরূপ কার্যক্রম গ্রহণের কারণে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯.১০ একর এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে বা ভবিষ্যতে আরও ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ও সেবা খাতের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে এবং পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকায় অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ বা অন্য কোনরূপ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকল্পে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ এর (৪) ধারার ক্ষমতাবলে এই এলাকা পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো’।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এলাকার ২৫৯.১০ একর জায়গাকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এখন থেকে সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তাছাড়া পর্যটন কেন্দ্রটিকে নয়নাভিরাম করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
জানা যায়, সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গুলিয়াখালী সৈকতের অদূরে বেড়িবাঁধের ওপর দাঁড়াতেই চোখ পড়বে কেওড়া বনের ওপর মায়াবী আকাশ। বেড়িবাঁধ পেরিয়ে জুতা জোড়া হাতে নিয়ে কাদা মাটির ওপর দিয়ে কিছুটা পথ হাঁটার পর কানে ভেসে আসবে সমুদ্রের গর্জন। সৈকতে যাওয়ার আগে কেওড়া বনে দেখা মিলবে ঘাসের বিছানা। কেওড়া বন আর সবুজের মাঝে ছোট ছোট খাদ। কক্সবাজার, কুয়াকাটা বা পতেঙ্গার মতো বেশ পরিচিত না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গুলিয়াখালী সৈকতে আসছেন পযর্টকরা। সৈকতটির জীবপ্রকৃতির বৈচিত্রের অনিন্দ্য রূপই এর কারণ। সমুদ্রসৈকতের চারপাশের মোহনীয় রূপে মোহাবিষ্ট হচ্ছেন দর্শনার্থীরা, সুযোগ পেলেই পা ভিজিয়ে নেন সাগরের জলে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন