বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে নানাভাবে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ এবং পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা স্ব স্ব দপ্তরের প্রধানরা সভাপতি পদে নির্বাচন করায় পৃথক ভূমিকা পালন করছেন। এতে নিজেদের অধিনস্থ প্রধানদের জয়ী করতে মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করতেও দেখা গেছে। ফলে একই বন্ধনে থাকা উভয়ের সুন্দর সম্পর্কগুলো নির্বাচন ঘিরে ফাটলের দৃশ্য লক্ষ্যনীয়। তবে আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রামের সিআরবিতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন চলবে। এতে নিরাপত্তাও থাকবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।
জানা গেছে, এই নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচনে সভাপতি পদে মেকানিক্যালের প্রধান (সিএমই) বোরহান উদ্দিন ও পরিবহনের প্রধান (সিওপিএস) এএম সালাহউদ্দীন নির্বাচন করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি পদে রেলওয়ে শ্রমিকলীগের আরেক অংশের কার্যকরী সভাপতি লোকমান হোসেনও নির্বাচন করছেন।
মূলত সভাপতি-সহ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের তিনটা পদের প্রার্থীদের নিয়েই বেশী কথা হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে। ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হচ্ছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন প্রার্থীরা। বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচন তিন বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১২ জানুয়ারি বুধবার সিআরবিতে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ৭৪০ জন ভোটার রয়েছেন। ১২ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে আসলে তারা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনে সভাপতি ছাড়াও সহ-সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন এবং পরিচালক পদে ২১ জন অংশগ্রহণ করছেন।
রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিন্টু বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রকার কাজ শেষ করা হয়েছে। তাছাড়া আইনী কোনো ধরণের বাধা না থাকলে স্থগিত ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থী বা সমর্থকরা আচরণবিধি অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি প্রার্থী ও প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) বোরহান উদ্দিন বলেন, হাউজিং এর নানা বিষয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছি। চেষ্টা করি অন্যসময়ে দুঃসময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে। হাউজিংয়ের জন্য ভূমি ব্যবস্থাপনার জটিলতা কেটে গেছে। নির্বাচিত হলে সদস্যদের বাসস্থান নিশ্চিত করব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি বলেন, সভাপতি পদে দুই বিভাগের প্রধানরা নির্বাচন করায় স্ব স্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। প্রার্থীরা সামাজিক অনুষ্ঠানেও গেছেন নিয়মিত। পৃথক বিভাগের কর্মচারিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভোটের দিন প্রভাব পড়বে বলে জানান অনেকেই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল