চট্টগ্রামে কমছে সংক্রমণ। গত এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আগের তুলনায় কমছে। চট্টগ্রামে এক সপ্তাহ আগেও সর্বোচ্চ ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত সংক্রমণ হয়। তবে বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয় ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কিন্তু সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু কমেনি। চট্টগ্রামে আজও একজনের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৫৮০ জনের। গত বুধবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ৫৭৫টি। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৫৪৯ জনের। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ৯৮৯টি। এর মধ্যে পজেটিভ শনাক্ত হয় ৭২৯ জনের। ওই দিন মারা গেছেন তিনজন। গত সোমবার ২ হাজার ৭৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৫৮৭ জনের। সংক্রমণের হার ২১ দশমিক ২২ শতাংশ। একই দিনে মারা যান একজন। গত রবিবার ৪ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ১১৫ জনের। সংক্রমণ হার ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে এই দিন কোনো মৃত্যু ছিল না। গত শনিবার ২ হাজার ৯১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ৮০৯ জনের। সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। একই দিনে মারা যান একজন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক করোনা গবেষক ড. আদনান মান্নান বলেন, চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণের হার কমছে। এটাতে সন্তোষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। সংক্রমণ কম হওয়ার কারণ হল আগের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা কম হওয়া এবং সীমিত লকডাউন। তবে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এভার কেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সায়মা সাদিয়া বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের চরিত্র হল প্রথম দিকে আক্রমণটা বেশি করে। পরে ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আমাদের তা দেখাল। হয়তো এ কারণে সংক্রমণ কমছে। তবে এ কারণে বেপরোয়া হলে চলবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৮৮ হাজার ৬০১ জন এবং উপজেলায় ৩২ হাজার ৯৭১ জন। ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৭৩৪ জন এবং উপজেলায় ৬২৫ জন। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ১২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম