দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন ঘাঁটি ও স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৩ জুন) রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (IRGC) মহাকাশ ইউনিট এ হামলা পরিচালনা করে। ইরানি গণমাধ্যমের দাবি, এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে ‘ইমাদ’, ‘গাদর’ ও ‘খাইবার শেকান’ নামের অত্যাধুনিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরান জানিয়েছে, এই হামলা ছিল শুক্রবার ও শনিবার সকালে তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত সেনা কমান্ডার ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জবাব।
ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বিবরণ
ইমাদ
‘ইমাদ’ হচ্ছে গাদর ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ। এতে রয়েছে নির্ভুল ওয়ারহেড এবং প্রবেশের পর দিক ও গতি পরিবর্তনের ক্ষমতা। এর পাল্লা ১,৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ২০১৫ সালে এর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন প্রায় ১,৭৫০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ১৫.৫ মিটার।
গাদর
‘গাদর’ হলো শাহাব-৩ ঘরানার মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এর তিনটি সংস্করণ রয়েছে—গাদর-এস, গাদর-এইচ এবং গাদর-এফ। পাল্লা ১,৩৫০ কিমি থেকে ২,০০০ কিমি পর্যন্ত। ২০০৫ সালে এটি আধুনিকীকরণ করা হয়। উন্নত জ্বালানি ব্যবস্থার কারণে দূরত্ব ও নির্ভুলতা বেড়েছে।
খাইবার শেকান
‘খাইবার শেকান’ হচ্ছে মধ্যপাল্লার উচ্চ নির্ভুলতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ১,৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেমন অ্যারো-৩ ও ডেভিড’স স্লিংকে এড়িয়ে যেতে পারে। কঠিন জ্বালানি ব্যবহারের ফলে খুব অল্প সময়ে হামলার জন্য প্রস্তুত করা যায়।
এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইয়া আলী ইবন আবি তালিব’, যা ঈদ আল ঘাদীর উৎসবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আইআরজিসি দাবি করেছে, দখলকৃত অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এতে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক