চট্টগ্রামের আনোয়ার উপজেলার প্রসূতি রোগী জেসমিন আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন গত ১৮ মে গভীর রাতে। প্রসব করেন একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু সকালেই স্বামী-স্ত্রী উধাও। এরপর গত তিনমাস ধরে পরম মমতায় বড় হচ্ছে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে। অবশেষে আজ মঙ্গলবার তাকে হস্তান্তর করা হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালনাধীন ‘ছোট মনি নিবাসে’। তবে নবজাতক ওয়ার্ডে কুড়িয়ে পাওয়া আরও একটি শিশু পালিত হচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৮ মে রাতে জেসমিন আক্তার সন্তান প্রসব করার পর থেকে স্বামীসহ উধাও হয়ে যান। এরপর থেকে ওই নবজাতকের অভিভাবককে পাওয়া যায়নি। পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদারের সহায়তায় শিশুটিকে আজ ছোট মনি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, গত ২৫ জুলাই নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন জাতিসংঘ পার্কের পাশে একটি পুটলিতে বাঁধা কন্যা নবজাতক পাওয়া যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এই শিশুর কপালে একটি জন্মগতভাবে মাংসপিণ্ড আছে। অপারেশনের মাধ্যমে সেটি সারিয়ে নেওয়া হবে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধান ও রোগী কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি পালিত হচ্ছে।
পাঁচলাইশ থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক অফিসার মনিরা আক্তার বলেন, চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে কুড়িয়ে পাওয়া দু’টি শিশু আছে। এর মধ্যে একটিকে আজ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সমাজ সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত নগরের রৌফাবাদের ‘ছোট মনি নিবাসে’ হস্তান্তর করা হয়। আরেকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চমেক হাসপাতালের নার্স তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্না বলেন, নবজাতক ওয়ার্ড থেকে একটি হস্তান্তর করা হয় এবং একটি নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। দায়িত্বরত নার্সরা শিশুটির যত্ন নিয়ে থাকেন। চমেক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সাহা বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধান ও রোগী কল্যাণ সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় কুড়িয়ে পাওয়া দুই শিশু বড় হয়ে আসছে। এর মধ্যে একজনকে আজ ছোট মনি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়। অপরজনের চিকিৎসা চলছে। তাকে সমিতির পক্ষ থেকে ওষুধ, দুধ, ডায়াপার, ওয়েট টিস্যুসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর