'বন্যা মোকাবেলায় সারা দেশের ৬৪ জেলার ৪৪৮টি নদী-খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আরও ৫শ’ নদী-খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে আগামীতে বন্যার প্রভাব কমবে।'
শনিবার সকালে বরিশাল নগরীর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পাশ্ববর্তী দেশের অতিবৃষ্টির পানি আমাদের দেশের নদ-নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। কিন্তু নদী-খালের নাব্যতা না থাকায় ওই পানিতে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। এ কারণে দেশের ৬৪ জেলার নদী-খালের নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ৪৪৮টি নদী-খাল খনন করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় আরও ৫শ’ নদী-খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশে আগামীতে বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কমবে বলে আশা প্রতিমন্ত্রীর।
এদিকে চলতি বছর দেশের কয়েটি জেলায় বন্যা ও নদী ভাঙনের প্রকোপ দেখা দেয়ায় সেসব স্থানের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদী ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান এবং পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
এর আগে নগরীর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে ২০১৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশায় কর্মরতদের সুবিধা বঞ্চিত ৬০ জন মেধাবী সন্তানকে বৃত্তি প্রদান করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। আশার উদ্যোগে প্রতিজনকে ১১ হাজার টাকা করে মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল