রাজধানীর মগবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত মারা গেছে সাতজন। বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ভবনের নিচতলার অংশ উড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন।
রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা বিভাগের এ কর্মকর্তা।
দেবাশীষ বর্ধন জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ভবনের নিচতলার অংশ উড়ে গেছে। ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব। এখন সবার আগে কাজ হচ্ছে হতাহতদের উদ্ধার করা।
তিনি আরও বলেন, অনেকে ভেতরে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণ আশপাশের সাতটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাশকতার ঘটনা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নাশকতা হলে সেখানে স্প্লিন্টার পাওয়া যেত, বোমার বিস্ফোরণ হতো। স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষ ক্ষতবিক্ষত হতো কিন্তু বাসে কোনো স্প্লিন্টারের কণা পাওয়া যায়নি। অতএব নিশ্চিতভাবে বলা যায় গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে, বোমার কোনো ঘটনা এখানে নাই।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রত্যেকের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন