২১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:২৮

১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো মহুয়া এক্সপ্রেস

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো মহুয়া এক্সপ্রেস

লাইনচ্যুত মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ রেল স্টেশনে লাইনচ্যুত মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুর্ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পর দুটি বগি ও একটি ইঞ্জিন উদ্ধার করা হলো। শুক্রবার ভোর রাত ৫টা ৩০ মিনিটের সময় উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন কাওরাইদ রেল স্টেশনের মাস্টার মো. আল আমিন মৃধা।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে মহুয়া এক্সপ্রেস কাওরাইদ স্টেশনে প্রবেশের সময় স্টেশন ভবন এলাকায় দুই নম্বর লাইনে লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনটির দুটি বগির চারটি চাকা ও ইঞ্জিনের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম একটি বগি উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে অপর আরেকটি বগি উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ভোর রাত ৫টা ৩০ মিনিটের সময় ইঞ্জিন উদ্ধার করা হলে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়।

রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান ও স্টেশন কর্তৃপক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার সময় কাওরাইদ রেল স্টেশনে কর্তব্যরত ছিলেন স্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, ঢাকা থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টা ১২ মিনিটে শ্রীপুর স্টেশন ছাড়ে। ১১টা ৩৫ মিনিটের সময় ট্রেনটি কাওরাইদ স্টেশন এলাকায় প্রবেশের আগেই ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

তিনি আরও জানান, কাওরাইদ রেললাইন স্টেশন এলাকায় রেল লাইন মেরামতে কাজ চালাচ্ছিল গ্যাং সদস্যরা (মেরামতকারী সদস্যরা)। মেরামতকারীরা ২ নম্বর লাইনের নিচে কাঠের স্লিপার সরিয়ে ফেললে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ২ নম্বর লাইন মেরামতের বিষয়টি কাওরাইদ স্টেশন মাস্টারকে অবহিত করেননি মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান।

এদিকে, অবহিত না করায় মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে প্রবেশের অনুমতি দেয় স্টেশনে কর্তব্যরত মাস্টার। পরে ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশের সময় স্টেশন ভবন এলাকায় একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এতে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে। রেল স্টেশনের এক নম্বর লাইনে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। দুর্ঘটনার কিছু সময় ময়মনসিংহগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস মহুয়া এক্সপ্রেসের সকল যাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় যাত্রী দুর্ভোগ কমানো সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।

অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ের পিডব্লিউ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েই সকাল থেকে ওই লাইনে মেরামত চলছিল। স্টেশন মাস্টারের ভুল সিগন্যালের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান।

তবে স্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমাকে না জানিয়েই তারা লাইন মেরামতের কাজ করছিল। এছাড়াও কোনো ট্রেন স্টেশনের প্রবেশের আগে একাধিকবার মাইকিং করে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ট্রেনটি কত নম্বর লাইনে থামবে। এখানেও মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু মেরামতকারীরা মাইকিং শুনেও দুই নম্বর লাইনে ট্রেন প্রবেশে নিষেধ করেননি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর