অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), দক্ষিণ কোরিয়া এবং র্যামন ম্যাগসেসে ফাউন্ডেশন। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, একজন বন্ধু হিসেবে, পথ চলার প্রতিটি পদক্ষেপে আমি আপনাকে শুভকামনা জানাই। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতিকে শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য প্রফেসর ইউনূস এবং তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সাফল্যও কামনা করেন স্টেইনার।
স্টেইনার বাংলাদেশে তাঁর সহকর্মীদের পাশাপাশি, অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলোকে সমর্থন করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে ইউএনডিপির বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক ও দক্ষতার প্রতি আস্থা রাখুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনন্দন : দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দেশটির ঢাকার দূতাবাস এ তথ্য জানায়। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কোরিয়ান সরকার আশা করে যে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দেশে দ্রুতই শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে। মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা কাজ করার জন্য উন্মুখ। আমরা মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করবে এবং আমাদের অংশীদারিকে এগিয়ে নেবে।
র্যামন ম্যাগসেসের অভিনন্দন : অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন। গতকাল সংগঠনটির চেয়ারম্যান সিসিলিয়াএল লেজারো এবং ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সুসানা বি আফান অভিনন্দন জানিয়ে এক শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মাদ ইউনূসের কাছে।
অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তাঁরা উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাক্সক্ষা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বর্বরতম, সহিংসতামূলক কর্মকান্ড থেমে যাওয়ায় বিশ্ব সমাজ মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।