চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। গতকাল সকাল ১০টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদের চিটাগাং চেম্বার ভবন প্রাঙ্গণে সংস্কার দাবির এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নুরুল হক বলেন, ‘চেম্বারকে সংস্কার করে সদস্যপদ প্রদান সহজ করতে হবে। যারা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আছেন তারা সদস্য হবেন। তারাই নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। আমরা চাই না পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়ে চিটাগাং চেম্বার তার ঐতিহ্য নষ্ট করুক। চেম্বার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমেই চেম্বারের নেতৃত্ব দেওয়া হোক।’ বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম বলেন, ‘চেম্বারকে সংস্কার করতে হবে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। পরিবারতন্ত্রের কবলে পড়ে চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়ীদের কথা বলতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা যদি ঠিকভাবে ব্যবসা করতে না পারেন তাহলে তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা মুশকিল হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুবর রহমান বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সকে ১৭ বছর ধরে স্বৈরশাসনের আজ্ঞাবহ করে রাখা হয়েছে। স্বৈরশাসন ও পরিবারতন্ত্র দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আজ নির্যাতিত ও অবহেলিত ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে মিলিত হয়েছে পরিবারতান্ত্রিক এই কমিটির পদত্যাগের দাবিতে। আমরা চাই, ব্যবসাবান্ধব চিটাগাং চেম্বারের ভূমিকা নিশ্চিত করতে নতুন কমিটি গঠনের করা হোক।’
সমাবেশে চেম্বারের সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, আবদুল মান্নান রানা, বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাহাবুব রানা, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এম এ রাজ্জাক, চট্টগ্রাম ফ্রেশ ফ্রুটস ভেজিটেবল অ্যান্ড এলাইট প্রোডাক্টের সাধারণ সম্পাদক ফোকরান উদ্দিন সিআইপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী ও ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ আজম উদ্দিন শওকত, আজম খাজাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।