চলমান বন্যায় কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তত ৪ হাজার প্রান্তিক পোলট্রি খামারি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। আর্থিক বিচারে যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৬৭ কোটি টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরিভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক খামারিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে দেশে ডিম ও মুরগির জোগান সংকটে পড়বে বলে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) গত ২৮, ২৯ ও ৩০ আগস্ট ওই চারটি জেলার খামারিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও একাধিক মতবিনিময় সভা করে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও খামারিদের সমস্যাগুলো জানতে পারে। চার জেলায় ডিমপাড়া লেয়ার মুরগি মারা গেছে প্রায় ৫ লাখ, যার বাজারমূল্য ৪০ কোটি টাকা। ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে ৪০ লাখ পিস, যার বাজারমূল্য ৯৬ কোটি টাকা। সোনালি মুরগি মারা গেছে ৩০ লাখ পিস, যার বাজারমূল্য ৭২ কোটি টাকা। মুরগির খাবার নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টন যার বাজারমূল্য ৩৫ কোটি টাকা। খামারের স্থাপনা নষ্ট হয়েছে ৩২০ কোটি টাকার। মুরগির বাচ্চা মারা গেছে প্রায় ১৫ লাখ। মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। নিঃস্ব হয়ে যাওয়া খামারিদের পুনর্বাসন জরুরি।