বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬২ জনকে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান বন্ধে গতকাল প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আগে অভিযুক্ত ৬২ জনের পরীক্ষার ফলাফল থেকে শুরু করে এসবি, এনএসআই রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে নিরীহ কেউ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার পর পুনরায় প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের দিন-তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। শনিবার রাতে নগর পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিনের পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা রাজশাহীতে রবিবার (২০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, অনিবার্য কারণে এটা করা হয়েছে।
পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ওই ৬২ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণে যোগ দেন। অভিযোগ আছে, শেখ হাসিনার সরকার তিনটি ক্যাটাগরিতে ৪০তম বিসিএস থেকে ওই ৬২ জনকে এএসপি হিসেবে নিয়োগ করে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এবং দলীয় ক্যাডার। সূত্র মতে, ওই সময় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেকে বাদ পড়েন শুধু এসবি এবং এনএসআইয়ের রিপোর্টের কারণে। আওয়ামী লীগ না করলে কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে ফলাফল যত ভালোই হোক, পরিবারের কেউ বিএনপি অথবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। এতে অন্তত ৬২ জন ছাত্রলীগ নেতা নিয়োগ পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।