দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় পাস করা রোস্টারভুক্ত ডিলেট হওয়া ‘এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম’ (ইপিএস) কর্মীদের পুনঃ রোস্টার করাসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইপিএস কর্মীরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় রোস্টারভুক্ত সব ভিসাপ্রত্যাশী’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ইপিএস এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে। যে লক্ষ্য নিয়ে ইপিএস সিস্টেম বাংলাদেশে চালু হয়েছিল, এক যুগেও তা অর্জিত হয়নি।
তাদের দাবিগুলো হলো-২০২২ সাল থেকে যেসব কর্মী ডিলেট হয়েছেন বা হবেন সেসব কর্মীর রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পুনঃ রোস্টার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং যেসব কর্মী রোস্টারে আছেন তাদের ডিলেট না হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে, দুই বছরে ১০টি ইস্যুতে সাত-আট বার কোম্পানির মালিকের কাছে ফাইল বাধ্যতামূলক পৌঁছাতে হবে এবং বর্তমান রোস্টার করা কর্মীদের মধ্যে ৭৫-৮৫ ভাগ কোরিয়ায় প্রবেশ না করা পর্যন্ত সব সার্কুলার বাণিজ্য বন্ধ রাখতে হবে, নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করে রোস্টারভুক্তদের মধ্য থেকে সরকারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলে তাদের কোরিয়া যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ও কূটনৈতিক বিচক্ষণতার মাধ্যমে সব রোস্টারভুক্তকে কোরিয়ায় প্রবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে যাতে কোনো কর্মী কোরিয়ায় প্রবেশ করতে না পারেন সে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এ ছাড়া মৎস্য, কনস্ট্রাকশন, শিপ বিল্ডিং খাতের ভিসা ইস্যু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। রোস্টারকৃত কর্মীদের ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো অঞ্চল থেকে রোস্টারবিহীন কাউকে ভিসা ইস্যু করা যাবে না, এ বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে ও কোরিয়াপ্রবাসী কোনো কর্মী কোম্পানি পরিবর্তন বা রিলিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এম্বাসির এজেন্ট সশরীরে কোম্পানিতে গিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং বর্তমান সংকট নিরসনে বোয়েসেলের কর্মকর্তারা সফল না হলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে শিগগির তাদের পদত্যাগ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপে বোয়েসেলকে বিচক্ষণ লোকদের সমন্বয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।